জাপানের একজন ব্যক্তি নিজের স্ত্রীকে দৈনিক ১০০ বার কল দিতেন। তবে তা ভালোবেসে নয়, ঈর্ষান্বিত হয়েই স্ত্রীকে কল দিতেন। মূলত ওই ব্যক্তি অপরিচিত একটি নম্বর থেকে প্রত্যেকদিন স্ত্রীকে কল দিয়ে কথা বলতো না। এই ঘটনায় পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেন। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে জাপানের হায়াগো প্রদেশে এ ঘটনাটি ঘটে।
সংবাদ যোগাযোগ মাধ্যম থেকে জানা যায়, হায়াগো প্রাদেশিক অঞ্চলের ৩১ বছর বয়সি এক নারী পুলিশকে জানান, জুলাই-আগষ্ট মাসে একটি ব্ল্যাংক নম্বর থেকে তার মোবাইলে প্রায় ১০০ টি ফোন কল আসতো। ফোন রিসিভ করার পর অপর প্রান্ত থেকে কেউ কথা বলতেন না। প্রথমে তিনি তার স্বামীর কাছে এ বিষয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু স্বামীর উদাসীনতা তাকে হতাশ করেছিল।
পরবর্তিতে ওই নারী দেখতে পান, তার স্বামী যখন ঘুমিয়ে থাকে কিংবা তার সাথে সময় কাটায় তখন কোনো ফোনকল আসে না। এক পর্যায়ে তিনি সবামীকে সন্দেহ করেন। এরপর তিনি একটি পরীক্ষার পরিকল্পনা করেন। একসাথে কেনাকাটা করার সময়, তিনি তার স্বামীর কর্মকাণ্ড গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। তিনি লক্ষ্য করে দেখতে পান, যে সময়টাতে তারা কেনাকাটা করছে সে সময় তার স্বামী ফোন স্পর্শ করেননি এবং তখন কোনও কলও আসেনি।
পুলিশ এই দম্পত্তির ফোনকল তদন্ত করে দেখতে পায়, রহস্যময় এই ফোনকলের প্রকৃত পরিকল্পনাকারী হচ্ছে ওই নারীর স্বামী।
পুলিশ জানায়, এই দম্পতির মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে কোনো রকম সমস্যা ছিল না। তারা সুখে-শান্তিতেই বসবাস করতো। তবে কয়েক মাস আগে স্বামী জানতে পেরেছিলেন, তার স্ত্রী অন্য একজন পুরুষের সাথে সম্পর্কে জড়িত আছে। এতে তিনি ঈর্ষান্বিত হয়ে হুমকি স্বরূপ শাস্তি হিসেবে স্ত্রীকে নীরব কল দিতে শুরু করেন। অবশ্য স্বামী স্বীকার করেছেন, তিনি তার স্ত্রীকে অনেক বেশি ভালোবাসেন।
উল্লেখ্য, জাপানি আইনে ফোন কলের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য মানসিক যন্ত্রণা সৃষ্টি করা একটি ফৌজদারি অপরাধ। এ ধরনের অপরাধের জন্য এক বছরের কারাদণ্ড বা সাত হাজার ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।